হাতের কাছেই আছে সকল রোগের মহৌষধ। জেনে নিন তার ব্যবহার - raselscb

728x90 AdSpace

Trending
    Powered by Blogger.

    অন্যান্য, OTHER

    Loading...
    Saturday, January 2, 2016

    হাতের কাছেই আছে সকল রোগের মহৌষধ। জেনে নিন তার ব্যবহার


    প্রাচীনকাল থেকে কালোজিরা
    মানবদেহের নানা রোগের প্রতিষেধক এবং
    প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
    প্রায় ১৪শ’ বছর আগে মহানবী হজরত মুহাম্মদ
    (সাঃ) বলেছিলেন, ‘কালোজিরা রোগ
    নিরাময়ের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তোমরা
    কালোজিরা ব্যবহার কর, নিশ্চয়ই সাম ব্যতীত
    সকল রোগের নিরাময় ক্ষমতা এর মধ্যে নিহিত
    রয়েছে।’ আর সাম হলো মৃত্যু। সে জন্য যুগ যুগ ধরে
    পয়গম্বরীয় ওষুধ হিসেবে সুনাম অর্জন করে
    আসছে।
    তৎকালীন সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিম চিকিৎসা
    বিজ্ঞানী ইবনে সিনা তার বিখ্যাত গ্রন্থ
    ‘ক্যানন অব মেডিসিন’-এ বলেছেন,
    ‘কালোজিরা দেহের প্রাণশক্তি বাড়ায়
    এবং ক্লান্তি দূর করে।’ কালোজিরা তে
    প্রায় শতাধিক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এর
    প্রধান উপাদানের মধ্যে প্রোটিন ২১
    শতাংশ, শর্করা ৩৮ শতাংশ, স্নেহ ৩৫ শতাংশ।
    এ ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ।
    প্রতি গ্রাম কালজিরায় যেসব পুষ্টি উপাদান
    রয়েছে তা নিন্মরূপ-
    প্রোটিন ২০৮ মাইক্রোগ্রাম,
    ভিটামিন-বি ১.১৫ মাইক্রোগ্রাম
    নিয়াসিন ৫৭ মাইক্রোগ্রাম
    ক্যালসিয়াম ১.৮৫ মাইক্রোগ্রাম
    আয়রণ ১০৫ মাইক্রোগ্রাম
    ফসফরাস ৫.২৬ মিলিগ্রাম
    কপার ১৮ মাইক্রোগ্রাম
    জিংক ৬০ মাইক্রোগ্রাম
    ফোলাসিন ৬১০ আইউ
    কালো জিরার বোটানিক্যাল নাম হচ্ছে
    ‘নাইজিলা সাটিভা’ (Nigella sativa), এটি
    পার্সলে পরিবারের একটি উদ্ভিদ। এটা
    রাজা টুট এর সমাধি হতে আবিষ্কৃত হয় এবং
    সে সময় এটা পরকালে ব্যবহার করা হয় বলে
    বিশ্বাস করা হত। মানুষ ২০০০ বছর ধরে ঔষধ
    হিসেবে কালো জিরার বীজ ব্যবহার
    করেছে। এটা লতাপাতা জতীয় একটি
    উদ্ভিদ। এর সূক্ষ্ম বেগুনি ও সাদা ফুল হয়ে
    থাকে।
    কালোজিরার পুষ্টি ও ঔষধি গুণ: –
    নবী করিম (সাঃ) মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগ
    আরোগ্যকারী ওষুধ সম্পর্কে জ্ঞান দান
    করেছেন-“তোমাদের জন্য ‘সাম’ ব্যতীত সকল
    রোগের আরোগ্য রয়েছে কালো জিরায়। আর
    সাম হলো মৃত্যু।” সুতরাং কালো জিরা হোক
    আমাদের নিত্য সঙ্গী। সু-স্বাস্থ্য অর্জনে ও
    সংরক্ষনে কালোজিরা জাত ওষুধ গ্রহনে
    কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা জটিলতা সৃষ্টি
    করে না। সর্ব রোগের মহৌষধ
    হোমিওপ্যাথিক ও দেশীয় চিকিৎসায়
    সহযোগী ওষুধ রূপে এর ব্যবহার।
    ক্রিয়াক্ষেত্র :- মস্তিষ্ক, চুল, টাক ও দাঁদ,
    কান, দাঁত, টনসিল, গলাব্যথা,পোড়া
    নারাঙ্গা বা বিসর্গ, গ্রন্থি পীড়া, ব্রণ,
    যাবতীয় চর্মরোগ, আঁচিল, কুষ্ঠ,
    হাড়ভাঙ্গা,ডায়াবেটিস, রক্তের চাড় ও
    কোলেষ্টরেল, কিডনী, মুত্র ওপিত্তপাথরী,
    লিভার ও প্লীহা, ঠান্ডা জনিত
    বক্ষব্যাধি,হৃদপিন্ড ও রক্তপ্রবাহ, অম্লশূল বেদনা,
    উদরাময়, পাকস্থলী ও মলাশয়, প্রষ্টেট, আলসার
    ও ক্যান্সার। চুলপড়া, মাথাব্যথা,
    অনিদ্রা,মাথা ঝিমঝিম করা, মুখশ্রী
    ওসৌন্দর্য রক্ষা, অবসন্নতা-দুর্বলতা,
    নিষ্কিয়তা ও অলসতা,আহারে
    অরুচি,মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি
    বাড়াতেও কালোজিরা উপযোগী।
    কালোজিরার যথাযথ ব্যবহারে দৈনন্দিন
    জীবনে বাড়তি শক্তি অজির্ত হয়। এর তেল
    ব্যবহারে রাতভর আপনি প্রশান্তিপর্ন নিদ্রা
    যেতে পারেন। রোগ প্রতিরোধক কালো
    জিরা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
    বাড়ায়।
    ওষুধ প্রস্তুত :- আগেই বলেছি-আমরা কালো
    জিরার টীংচার,বড়ি ও তেল ওষুধ হিসেবে
    ব্যবহার করছি।কখনো এককভাবে কখনো অন্য
    ওষুধের সাথে সংমিশ্রিত করে রোগীক্ষেত্র
    প্রয়োগ করে থাকি।কালোজিরা তেলের
    সাথে জলপাই তেল, নিম তেল, রসুনের তেল,
    তিল তেল মিশিয়ে নেয়া যায়।
    কালোজিরা আরক+কমলার রস ব্যবহার :–
    কালোজিরা + পুদিনা চায়ের সাথে
    কালোজিরা কালোজিরা + রসুন + পেঁয়াজ
    কালোজিরা + গাজর
    মাথাব্যথা :- মাথা ব্যথায় কপালে উভয়
    চিবুকে ও কানেরপার্শ্ববর্তি স্থানে দৈনিক
    ৩/৪বার কালোজিরা তেল মালিশ করূন। ৩
    দিন খালি পেটে চা চামচে এক চামচ করে
    তেল পান করুন। পাশাপাশি লক্ষণসাদৃশ্যে
    হোমিওপ্যাথি ওষুধ নির্বাচন করূর। এ
    ক্ষেত্রে আপনার ডাক্তারের পরমর্শ নিন।
    সচরাচর মাথাব্যথায় মালিশের জন্য রসুনের
    তেল, তিল তেল ও কালোজিরা তেলের
    সংমিশ্রণ মাথায় ব্যবহার করুন।
    চুলপড়া :- লেবু দিয়ে সমস্ত মাথার খুলি
    ভালোভাবে ঘষুণ। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু
    দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ও ভালোভাবে মাথা
    মুছে ফেলুন। তারপর মাথার চুল ভালোভাবে
    শুকানোর পর সম্পুর্ন মাথার খুলিতে
    কালোজিরা তেল মালিশ করুন। ১
    সপ্তাতেইচুলপড়া বন্ধ হবে। মাথার যন্ত্রনায়
    কালোজিরার তেলের সাথে পুদিনার আরক
    দেয়া যায়। এক্ষেত্র পুদিনার টীংচার
    রসুনের তেল, তিলতেল, জলপাই তেল ও
    কালোজিরা তেল একসাথে মিশিয়েও
    নেয়া যেতে পারে।
    কফ ও হাঁপানী :- বুকে ও পিঠে কালোজিরা
    তেল মালিশ। এক্ষেত্রে হাঁপানীতে
    উপকারী অন্যান্য মালিশের সাথে এটা
    মিশিয়েও নেয়া যেতে পারে।রীতিমতো
    হোমোওপ্যাথিক ওষুধ আভ্যন্তরীন প্রয়োগ।
    স্মরণশক্তি ও ত্বরিত অনুভুতি :- চা চামচে ১
    চামচ কালোজিরা তেল ও ১০০ গ্রাম পুদিনা
    সিদ্ধ ১০দিন সেব্য। পাশাপাশি
    ক্যালকেরিয়া ফস ১২এক্স, ৩০এক্স দিনে ৩ বার
    ৪ বড়ি করে। সামান্য ঈষদোষ্ণ পানি সহ সেবন।
    কালোজিরার টীংচার ও পুদিনার
    টীংচারের মিশ্রণ দিনে ৩ বার ১৫-২০
    ফোটা করে আহারের ১ঘন্টা আগে এবং ১
    ঘন্টা পরে ক্যালকেরিয়া ফস ১২এক্স ও ৪বড়ি
    করে। প্রয়োজন বোধে ক্যালি ফস ১২এক্স ও
    একসঙ্গে দেয়া যেতে পারে।
    ডায়াবেটিস :- কালোজিরা চূর্ণ ও
    ডালিমের খোসাচূর্ণ মিশ্রন, কালোজিরা
    তেল ডায়াবেটিসে উপকারী। রোগীর
    অবস্থানুযায়ী অন্যান্য হোমিওপ্যাথিক
    মাদার ও ভেষজ সহ ব্যবস্থেয়।
    কিডনির পাথর ও ব্লাডার :- ২৫০ গ্রাম কালো
    জিরা ও সমপরিমান বিশুদ্ধ মধু। কালোজিরা
    উত্তমরূপে গুড়ে করে মধুর সাথে মিশ্রিত করে
    দুই চামচ মিশ্রন আধাকাপ গরম পানিতে
    মিশিয়ে প্রতিদিন আধা চা কাপ পরিমাণ
    তেলসহ পান করতে হবে। কালিজিরার
    টীংচার মধুসহ দিনে ৩/৪ বার ১৫ ফোটা করে
    সেবন। পযায়ক্রমে বার্বারিস মুল আরক বা
    নির্দেশিত হলে অন্য কোন হোমিও অথবা
    বায়োকেমিক ওষুধ পাশাপাশি।
    মেদ ও হৃদরোগ/ধমনী সংকোচন :- চায়ের
    সাথে নিয়মিত কালোজিরা মিশিয়ে
    অথবা এর তেল বা আরক মিশিয়ে পান করলে
    হৃদরোগে যেমন উপকার হবে, তেমনি মেদ ও
    বিগলিত হবে।
    অ্যাসিডিটি ও গ্যাসষ্ট্রিক:- এককাপ দুধ ও এক
    বড় চামচ কালোজিরা তেল দৈনিক ৩বার
    ৫-৭ দিন সেবনে আরোগ্য হয়।
    চোখেরপীড়া :- রাতে ঘুমোবার আগে
    চোখের উভয়পাশে ও ভুরূতে কালোজিরা
    তেল মালিশ করূন এবং এককাপ গাজরের রসের
    সাথে একমাস কালোজিরা তেল সেবন করুন।
    নিয়মিত গাজর খেয়ে ও কালোজিরা
    টীংচার সেবনে আর তেল মালিশে উপকার
    হবে। প্রয়োজনে নির্দেশিত হোমিও ও
    বায়োকেমিক ওষুধ সেবন।
    উচ্চরক্তচাপ:- যখনই গরম পানীয় বা চা পান
    করবেন তখনই কালোজিরা কোন না কোন
    ভাবে সাথ খাবেন। গরম খাদ্য বা ভাত
    খাওয়ার সময় কালোজিরা ভর্তা খান। এ উভয়
    পদ্ধতির সাথে রসুনের তেল সাথে নেন।
    সারা দেহে রসুন ও কালোজিরা তেল
    মালিশ করুন। কালোজিরা, নিম ও রসুনের
    তেল একসাথে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করুন।
    ভালোমনে করলে পুরাতন রোগীদের
    ক্ষেত্রে একাজটি ২/৩ দিন অন্তরও করা যায়।
    ডায়রিয়া :- সেলাইন ও হোমিও ওষুধের
    পাশাপাশি ১ কাপ দই ও বড় এক চামচ
    কালোজিরা তেল দিনে ২ বার ব্যবস্থেয়। এর
    মুল আরকও পরী্ক্ষনীয়।
    জ্বর :- সকাল-সন্ধায় লেবুর রসের সাথে ১ বড়
    চামচ কালোজিরা তেল পান করুন আর
    কালোজিরার নস্যি গ্রহন করুন। কালোজিরা
    ও লেবুর টীংচার (অ্যাসেটিক অ্যাসিড)
    সংমিশ্রন করেও দেয়া যেতে পারে।
    যৌন-দুর্বলতাঃ :- কালোজিরা চুর্ণ ও
    যয়তুনের তেল (অলিভ অয়েল), ৫০ গ্রাম
    হেলেঞ্চার রস ও ২০০ গ্রাম খাটি মধু = একত্রে
    মিশিয়ে সকাল খাবারের পর ১চামচ করে
    সেব্য। কালোজিরার মূল আরক, হেলেঞ্চা মুল
    আরক, প্রয়োজনীয আরো কোন মুল আরক অলিভ
    অয়েল ও মধুসহ পরীক্ষনীয়।
    স্ত্রীরোগ, পসব ও ভ্রুন সংরক্ষণ :- কালোজিরা
    মৌরী ও মধু দৈনিক ৪ বার সেব্য।
    স্নায়ুবিক উত্তেজনা :- কফির সাথে
    কালোজিরা সেবনে দুরীভুত হয়।
    চেহারার কমনীয়তা ও সৌন্দর্যবৃদ্ধি :- অলিভ
    অয়েল ও কালোজিরা তেল মিশিয়ে অঙ্গে
    মেখে ১ ঘন্টা পর সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলন।
    উরুসন্ধিপ্রদাহ :- স্থানটি ভালভাবে সাবান
    দিয়ে ধুয়ে নিয়ে ৩দিন সন্ধায় আক্রান্ত
    স্থানে কালোজিরা তেল লাগান সন্ধ্যায়,
    সকালে ধুয়ে নিন।
    ছুলি/শ্বেতী :- আক্রান্ত স্থানে আপেল
    দিয়ে ঘষে কালোজিরা তেল লাগান।
    ১৫দিন হতে ১মাস।
    আঁচিল :- হেলেঞ্চা দিয়ে ঘষে
    কালোজিরা তেল লাগান। হেলেঞ্চা মুল
    আরক মিশিয়ে নিলেও হবে। সাথে খেতে
    দিন হোমিও ওষুধ।
    পিঠ ও বাত :- আক্রান্ত পিঠে ও অন্যান্য
    বাতের বেদনায় কালোজিরা তেল মালিশ
    করুন। খেতে দিন কোন নির্বাচিত
    হোমিওপ্যাথি ওষুধ।
    সকল রোগের প্রতিষেধক :- মধুসহ প্রতিদিন
    সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য
    ভালো থাকে ও সকল রোগ মহামারী হতে
    রক্ষা পাওয়া যায়।

    হাতের কাছেই আছে সকল রোগের মহৌষধ। জেনে নিন তার ব্যবহার Reviewed by Rasel.scb on 8:44 AM Rating: 5 প্রাচীনকাল থেকে কালোজিরা মানবদেহের নানা রোগের প্রতিষেধক এবং প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রায় ১৪শ’ বছর আগে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা...

    No comments: