*এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করিল-ইয়া রাসুলাল্লাহ (সাঃ) ! কুরআন শরীফের কোন সূরাটি সর্বশ্রেষ্ঠ? মহানবী (সাঃ) বলিলেন, “সূরা এখলাস”।
ঐ ব্যক্তি আবারও জিজ্ঞাসা করিল-কুরআন শরীফের কোন আয়াতটি সর্বশ্রেষ্ঠ? মহানবী (সাঃ) বলিলেন, “আয়াতুল কুরসী”।
ঐ ব্যক্তি আবারও জিজ্ঞাসা করিল-ইয়া রাসুলাল্লাহ (সাঃ)! কুরআন মজীদের কোন আয়াতটি আপনার এবং আপনার উম্মতের অধিক উপকার করিবে? মহানবী (সাঃ) বলিলেন, “সূরা বাকারার শেষ অংশ”। আল্লাহ তায়ালার আরশের নিম্নস্হ রহমতের ভান্ডার হইতে উহা আসিয়াছে। তিনি উম্মতকে উহা দান করিয়াছেন। দুনিয়া ও আখিরাতে এমন কোন নিয়ামত নাই যাহা উহাতে নাই। (মিশকাত)
*মহানবী (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি রাত্রিকালে “সূরা দুখান” পাঠ করে এবং প্রত্যুষে শয্যা ত্যাগ করে, ১২ হাজার ফেরেশতা তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। (তিরমিযী)
*মহানবী (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি দিনের শুরুতে “সূরা ইয়াসীন”পাঠ করবে তার সমস্ত অভাব পূরন করে দেয়া হবে। (মিশকাত)
*মহানবী (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি দুইশত বার “সূরা এখলাস” পাঠ করে, তার শুধু রীনের দায় ছাড়া ৫ বছরের অন্যান্য গুনাহ্ মাফ হয়ে যায়। (তিরমিযী, আহমাদ)
*মহানবী (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি “সূরা কাহাফ”এর প্রথম তিন আয়াত নিয়মিত তিলাওয়াত করে সে দাজ্জালের ফিতনা হতে নিরাপদ তাকবে। (তিরমিযী)
*মহানবী (সাঃ) বলেন, কুরআন শরীফে ৩০ আয়াতের একটি সূরা আছে উহার নাম “সূরা মূলক” যা পাঠকের জন্য ক্ষমা লাভ না করা পর্যন্ত সুপারিশ করতে থাকে। (তিরমিযী, আবু দাউদ)
*মহানবী (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি রাত্রিকালে “সূরা আল-ইমরান” এর শেষ রুকু পাঠ করে, তার জন্য সারা রাত্রি নামাযে দাড়িয়ে থাকার সমতুল্য সওয়াব লিখিত হয়। (মিশকাত)
*মহানবী (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাত্রে “সূরা ওয়াকিয়া” তিলাওয়াত করবে সে কখনও ভূখা থাকবে না। (বায়হাকী, মিশকাত)
* মহানবী (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ঘুমাবার সময় বিছানায় ডান পার্শ্বে শুয়ে একশত বার “কুল হুয়াল্লাহু আহাদ” পাঠ করে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তায়ালা তাকে বলবেন, হে আমার বান্দা! তুমি ডান পার্শ্ব দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ কর। (তিরমিযী)
*মহানবী (সাঃ) বলেন, ঘরের ভিতরে যিকির-তিলাওয়াত না করে তোমরা নিজেদের ঘরকে কবর বানাইয়া ফেলিও না। যে ঘরে “সূরা বাকারা” তিলাওয়াত করা হয় সেই ঘর হতে শয়তান পলায়ন করে। (মুসলিম)
*মহানবী (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি জুমআ-বার রাত্রে “সূরা দুখান” পাঠ করে তার গোনাহ্সমুহ মাফ হয়ে যায়। (তিরমিযী)
*মহানবী (সাঃ) বলেন, আল-কুরআনের হৃদয় হলো “সূরা ইয়াসীন”; যে ব্যক্তি “সূরা ইয়াসীন” পাঠ করে আল্লাহ্ তায়ালা তার আমল নামায় এর বিনিময়ে দশবার সম্পূর্ন কুরআন মজীদ পাঠ করার সওয়াব লিপিবদ্ধ করে দেন। (তিরমিযী)
*মহানবী (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি জুমআর দিন “সূরা কাহাফ” তিলাওয়াত করে তার জন্য দুই জুমআর মধ্যবর্তী দিনগুলিতে নূরের ব্যবস্হা করা হয়। (বায়হাকী, মিশকাত)
*মহানবী (সাঃ) বলেন, সূরা ফাতিহাতে প্রতিটি রোগের ঔষধ বিদ্যমান। (দারিমী, মিশকাত)
*হযরত আনাস (সাঃ) বর্ননা করেন, এক ব্যক্তি আরয করিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ (সাঃ)! আমি এই “কুল হুয়াল্লাহ” সূরাটিকে খুব ভালবাসি। মহানবী (সাঃ) বললেন, এই সূরার প্রতি তোমার ভালবাসা তোমাকে বেহেশতে প্রবেশ করাইবে। (তিরমিযী)
*হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে খুবাইর (সাঃ) বর্ননা করেন, ভীষন অন্ধকার এক রাতে আমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) -কে খুঁজতে বের হলাম। তাঁর সাথে সাক্ষাত হলে তিনি বললেন-বল। আমি আরয করলাম, কি বলবো? রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, সূরা এখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস ভোরে ও সন্ধ্যাকালে তিনবার পাঠ করিও। ইহাতে তোমার সকল প্রয়োজন মিটিয়া যাইবে। (তিরমিযী)
Thursday, January 7, 2016
পবিত্র কুরআন শরীফের সূরা পাঠের ফজিলত বর্ননা করে মহানবী (সাঃ) এর বানী—
পবিত্র কুরআন শরীফের সূরা পাঠের ফজিলত বর্ননা করে মহানবী (সাঃ) এর বানী—
Reviewed by Rasel.scb
on
2:03 AM
Rating: 5
*এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করিল-ইয়া রাসুলাল্লাহ (সাঃ) ! কুরআন শরীফের কোন সূরাটি সর্বশ্রেষ্ঠ? মহানবী (সাঃ) বলিলেন, “সূরা এখলাস”। ঐ ব্যক্তি আবারও জ...
Related posts
-
হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র নীতি কথা, উপদেশ,বাণী
Jan 09, 2016 - 0 Read more -
—–নিজের মর্যাদা বাড়ানোর কৌশল—–
Jan 09, 2016 - 0 Read more -
বিপদে পড়লে মহানবী (সা) এই ৩টি দোয়া পাঠ করতে বলেছেন
Jan 07, 2016 - 0 Read more -
১১টি বিশেষ সময়ের আমল আল্লাহ পাক সাথে সাথেই কবুল করেন
Jan 07, 2016 - 0 Read more
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments: